বিজন মজুমদার : কাব্য ও শিল্পকর্মে যিনি প্রাণবন্ত
বিজন মজুমদার যতটা কবি, ততটা চিত্রশিল্পী। একজন কবি শব্দের সঙ্গে শব্দ গেঁথে কবিতা রচনা করেন, আর শিল্পী রঙের মাধ্যমে চিত্র বা ছবি আঁকেন ক্যানভাসে। শিল্প-সমালোচকদের মতে, কবি ও শিল্পী দু’জনেই স্রষ্টা অর্থাৎ নান্দনিকার্থে সুন্দর এবং সৃষ্টিশীল সত্তার অধিকারী। যেহেতু চিত্রকল্পই কবিতা সেহেতু বহুমাত্রিক শিল্পের নান্দনিকরূপের প্রকাশ চিত্রকলা। সাহিত্যের মতো চিত্রকলারও ভাষা ভাব ছন্দ রূপ রসের গন্ধ থাকে। এই দুই মাধ্যমের সুন্দর সমন্বয় ‘বিজন মজুমদার’।
কৃতী চিত্রশিল্পী ও কবি বিজন মজুমদারের কবিতা ও চিত্রকর্মে সৌন্দর্যের প্রতিফলন ঘটেছে। মানুষের জীবনের কালের সমাজের প্রকৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে তিনি তাঁর চিন্তা-চেতনা ভাবনা বোধ বিশ্বাসকে কাব্য ও শিল্পকর্মের মধ্যে প্রকাশের প্রয়াস পেয়েছেন। কবি রিজোয়ান মাহমুদ বলেন, ‘কবিতায় যেমন তিনি শব্দ ও ভাষার সহবাসে অনুভূতির ইমারত গড়ে তোলেন। তদ্রূপ রঙ ও রেখার অন্তরাত্মা দিয়ে অনায়াসে তৈরি করেন প্রাণবন্ত ভিন্ন চোখ ধাঁধানো ছবির জগৎ। কখনো বিমূর্ত রূপের। কখনোবা মূর্ত ব্যঞ্জনাময়’।
দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করলেও তাঁর বইয়ের সংখ্যা বেশি নয়, মাত্র দুটি : ‘নিয়ত শরশয্যা’ ও ‘ভুলে গেছি সূর্য স্নান’। চিত্রশিল্প ও কবিতার পাশাপাশি তিনি নাটকের সঙ্গেও জড়িত। তিনি নাট্যকার, অভিনেতা ও সেট ডিজাইনার।
কবি বিজন মজুমদার