‘অবসরে অন্তহীন ভাবনায়’ লেখক মুসলেহ্উদ্দিন মুহম্মদ বদরুল

মুসলেহ্উদ্দিন মুহম্মদ বদরুল একজন সংগঠক, লেখক ও সমাজব্রতীর নাম। স্মৃতিকথা লিখে তিনি প্রবেশ করেন গ্রন্থ ভুবনে। ২০১৯ এর একুশে মেলায় লেখকের প্রথম বই ‘অবসরে অন্তহীন ভাবনা’ প্রকাশিত হয়েছিল। ২০২০ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় বই ‘আমার দেখা আরব -আমিরাত’। ‘অবসরে অন্তহীন ভাবনা’ গ্রন্থে লেখকের আত্মস্মৃতি ও নিজস্ব ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে।
তাঁর স্মৃতিকথায় নিজের জীবনকথার পাশাপাশি সমাজ ও দেশের নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তিনি সমাজ ও দেশের যেসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন, তা তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন লেখায়। নস্টালজিয়া মানুষকে তাড়িত করে অতীতের দিকে। এখানেও ব্যতিক্রম নন। পরিবারই তাকে ধৈর্য এবং মানবিক হতে শিখিয়েছে। তাঁর পিতাই তাঁর আদর্শ।
লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ থেকে। ছাত্র জীবন থেকেই এই অনুরাগ। সত্তর ও আশির দশকে তাঁর বিভিন্ন ছড়া, গল্প, প্রবন্ধ চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীর ‘আগামীদের আসর’ ও ঢাকার দৈনিক ইত্তেফাকের ‘কচি – কাঁচার আসরে প্রকাশিত হয়েছে। আশির দশকে তিনি জাতীয় শিশু – কিশোর সংগঠন কচি – কাঁচার মেলার চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। কেন্দ্রীয় কচি – কাঁচার মেলার পরিচালক রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই এর অত্যন্ত স্নেহধন্য ছিলেন তিনি। লেখক আশির দশকে কিছুকাল চট্টগ্রামের দৈনিক স্বাধীনতা পত্রিকায় সাংবাদিকতাও করেন।

মুসলেহ্উদ্দিন মুহম্মদ বদরুলের জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৫৭। পৈত্রিক নিবাস রাউজান উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে। মাতা – মোহছেন আরা বেগম, পিতা – মৌলভী হাফিজুর রহমান বিএ (ডিস্টিংশন) বিটি (প্রথম শ্রেণী)। তাঁর পিতা ছিলেন একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ ও কবি। তিনি ১৯৬১ সালে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের ‘শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক’ হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি অর্জন করেন।
১৯৭০ সালে কিশোর বয়সে মুসলেহ্উদ্দিন মুহম্মদ বদরুল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্নেহাশীর্বাদে ধন্য হয়েছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে ছবি তোলার একটি দুর্লভ সুযোগ লাভ করেন।
লেখক ১৯৭৮ সালে অগ্রণী ব্যাংক লালদীঘি শাখায় এবং ১৯৭৯ সালে বার্মা ইস্টার্ন লিমিটেড (বর্তমানে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড) এ যোগদান করেন। তিনি সুদীর্ঘ ৩৮ বছরের কর্ম জীবনের সমাপ্তি টেনে ১০ এপ্রিল ২০১৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর পূর্ববর্তী পদ্মা অয়েল কোম্পানির ম্যানেজার, এমপ্লয়ী রিলেশন্স হিসাবে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
অবসর জীবনে লেখক বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত আছেন। তিনি রাউজানের মোহাম্মদপুর মুহিউল উলুম দাখিল মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, স্থানীয় সামাজিক সংগঠন তারুণ্য সংসদ ও স্মার্ট চ্যালেঞ্জার্স এর উপদেষ্টা, মঙ্গলখালী প্রতিশ্রুতি সংসদের আজীবন সদস্য।

Show sidebar

No products were found matching your selection.