লেখক জিনাত আজম : ভ্রমণকাহিনি ও রম্যরচনার ক্ষেত্রে যিনি অতুলনীয়

উম্মে মুসলিমা তাঁর এক লেখায় লিখেছিলেন, বড় সাহিত্যিকদের জীবনী পড়লে জানা যায়, হাওয়া বদল তাঁদের মাথা খোলার জন্য জরুরি এবং লেখালেখির ইচ্ছে চাঙ্গা করার একটি অন্যতম পন্থা। এতে নতুন নতুন রসদও সংগ্রহ করা যায়, আবার একঘেয়েয়েমিও দূর হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশের ভেতরের বিভিন্ন অঞ্চল তো বটেই, পাঁচ মহাদেশের ৩৩টির বেশি দেশ ভ্রমণ করেছিলেন। এর ফলে আলাদাভাবে যেমন ভ্রমণসাহিত্যের ভান্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে, তেমনি ‘আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী’র মতো গান ও কথিত বিদেশিনী এখনো আমাদের যুগপৎ আনন্দ ও কৌতূহলে নিমজ্জিত রাখে। ইদানীং ফেসবুকের বদৌলতে জানা যাচ্ছে, কবি-সাহিত্যিকেরা দলবদ্ধ হয়ে মাঝেমধ্যেই আজ বরিশাল, কাল ময়মনসিংহ, পরশু নেপাল, দার্জিলিং, কাশ্মীর ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কোনো দল পাহাড়ে, কোনো দল সমুদ্রে বা পূর্ণিমা রাতে নৌবিহারে। কিন্তু এসব দলে নারী লেখকের সংখ্যা কোনো কোনো ক্ষেত্রে নগণ্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রে শূন্য। নারীরা দলবদ্ধ হয়ে একেবারে বেরোচ্ছেন না তা নয়। তবে সেসব দলের শ্রেণি, সামাজিক অবস্থান, শিক্ষা, বয়স এবং বেড়ানোর উদ্দেশ্য কেবল লেখক নারীর চাহিদা পূরণে বিবেচিত নয়।
আমাদের নারী লেখকদের মধ্যে একজনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই, যিনি ভ্রমণে কেবল আনন্দ পান না; ভ্রমণ কাহিনি লিখে পাঠকদেরও আনন্দ দেন; তিনি হলেন জিনাত আজম।
জিনাত আজমের ভ্রমণ বিষয়ক অসাধারণ গ্রন্থ ‘অন্তরে বাইরে অনিকেত প্রান্তরে’। নানা দেশ ভ্রমণ করে তিনি দৈনিক আজাদীসহ বিভিন্ন পত্রিকায় তা প্রকাশ করেছেন নিয়মিত।
জিনাত আজম একজন বিশিষ্ট রম্যসাহিত্যিক। সমকালীন বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক লেখা রচনার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি নেই। অসংখ্য রচনা উপহার দিয়েছেন তিনি। ‘আমি তেলাপোকা বলছি’ তাঁর সাড়া জাগানো গ্রন্থ। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আরেকটি চমৎকার গ্রন্থ ‘নজর আলীর সাতকাহন’।
লেখালেখি ছাড়াও তিনি সমাজসেবাতেও অবদান রেখে চলেছেন নীরবে। চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাবের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন সুদীর্ঘ সময়। বলা যেতে পারে তাঁর হাতেই লেডিস ক্লাবের বর্তমান অবয়ব গড়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম লেখিকা সংঘের সাধারণ সম্পাদক জিনাত আজম।

Showing all 3 results

Show sidebar