শুক্লা ইফতেখার : আলো-ছায়ার মোহন আড়ালের কবি

ফ্রয়েড বলেছেন, নারীর শরীরই তার নিয়তি। তবে নারীবাদীরা এই বক্তব্যকে চরম প্রতিক্রিয়াশীল বলে খারিজ করে দিয়েছেন। তবু সমকালীন সমাজ-সংস্কৃতি-শিল্প-সাহিত্যে নারীর শরীরই চিত্রায়িত হয়েছে নানা আঙ্গিকে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। তবে কোনো কোনো কবি আছেন, যিনি তাঁর কবিতাগুলোতে এমন চিত্র অঙ্কন করেন, যার রূপকাঠামো দেখে মুগ্ধ হতে হয়। সেখানে পাওয়া যায় নারীর প্রকৃত কণ্ঠস্বর। শুক্লা ইফতেখার সেই ধারারই কবি। যিনি লজ্জা-ভয়-সংশয়-সংকোচ এড়িয়ে বক্তব্য প্রকাশে অনন্য; শব্দ প্রয়োগে সংযত, চমৎকার কথনে ব্যবচ্ছেদ করেন নিজের এনাটমি, তুলে ধরেন অতৃপ্ত কামনা-বাসনার উপ্ত রসায়ন। তাঁর কবিতায় প্রেম আছে, শরীর আছে, তবে তিনি প্রকাশভঙ্গি অত্যন্ত শৈল্পিক ও রুচিস্নিগ্ধ।
আশির দশকের ‘ধ্রুপদীর প্রেমিকারা ও অন্য একজনের’ সাড়া জাগানো কবি শুক্লা সেনগুপ্ত অনেকদিন স্বেচ্ছায় নির্বাসনে ছিলেন। পরে শুক্লা ইফতেখার হয়ে নতুন গতিতে তাঁর কাব্যযাত্রা শুরু। এবছরই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ : ‘সম্পর্কের স্বরলিপি’। গ্রন্থভুক্ত কবিতাগুলোতে আমরা খুঁজে পাই কবির ভাবনার জগৎ ও দর্শন। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে তাঁর পড়াশোনা। চট্টগ্রাম কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন ২০১০ সালে।

Showing the single result

Show sidebar