গল্পকারের পুরো নাম- সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েল রানা (জুয়েল)। লেখালিখি করেন- সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েল নামে। বাবা আলী আহমেদ ইঞ্জিনিয়ার, মা বেগম ফাতেমা আহমেদ। জন্ম ১৯৮১ খৃষ্টাব্দের ২২ ফেব্রুয়ারি “নূর মঞ্জিল”-এ। এ-বাড়ি চট্টগ্রাম জিলার আনোয়ারা উপজিলার বটতলী গ্রামে। তাঁরা চার ভাই ও তিন বোন। নেটওয়ার্কিং টেকনোলজিতে এমসিপি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে উচ্চতর অ্যাকাডেমিক পড়াশুনা। বর্তমানে একটি প্রাইভেট ফার্মে কর্মরত তিনি।

স্কুল জীবনেই সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েলের লেখালিখির হাতেখড়ি। আনোয়ারার স্থানীয় পত্রিকা ‘অবিচল’, ‘কথন’ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার সাহিত্যকর্ম প্রকাশিত হয়। লিখালিখির বাইরেও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলার সাথে জড়িত। তিনি আনোয়ারা উপজিলা ফুটবল দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আনোয়ারা ব্লাড ডোনেট গ্রুপের সক্রিয় সদস্য তিনি।

এ-পর্যন্ত তাঁর ৩টি ছোটগল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম বই ‘নিষিদ্ধকথক’ প্রকাশিত হয়েছে ২০১৮ সালে। এরপর আরও আরও ২টি ছোটগল্প সংকলন প্রকাশ করেন তিনি। প্রথম বই ‘নিষিদ্ধকথক’-এর মতোই বাকি দু’টি বইও সাড়া ফেলে দেয়। দ্বিতীয় বই ‘ধূনন’ প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে। পরের বই ‘সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েলের জোকার’ প্রকাশিত হলো এবছরের একুশে বইমেলায়। এখনো বই তিনটি সাহিত্যাঙ্গনে আলোচিত।

সাড়াজাগানো ‘নিষিদ্ধকথক’ নিয়ে ‘সারাবেলা’ পত্রিকায় রিপোর্টার জনাব রবিউল হোসেন ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ রিপোর্ট করছেনঃ

“এবারের বই মেলায় আসছে তরুণ লেখক সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েলের গল্পের বই ‘নিষিদ্ধকথক’ । লেখক সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েল বলেন, বাছাই করা ৪৫টি গল্পের সংকলন রয়েছে এ বইয়ে।

প্রকাশনী সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধকথক বইয়ের গল্পগুলো দেশ, সমাজ, পরিবার এমনকি মানুষের ব্যক্তিজীবনে ঘটে চলা এমন কিছু ঘটনার উপাখ্যান, যা আমাদের মনোজগতে চিন্তা-চেতনার খোরাক যোগায়। শ্রেণীবৈষম্যের কপালে চপেটাঘাত করে মানুষের বিবেকবোধকে জাগ্রত করে এরকম কিছু ম্যাসেজ দিতে চেষ্টা করেছেন লেখক তার ছোটগল্পগুলোতে। বইয়ের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গল্পের নাম: উত্তরাধিকার, অস্তিত্ব, বাংলাদেশ, ওরা নক্ষত্র ছোঁবে, জ্বীন, থেমো না, ভাই, অগল্প, খেলনা, আলো, গোপন বিধুর, টক্কর, জাতিস্মর। গল্পগুলো আপনাকে ভাবাবে, জাগ্রত করবে মানবিক চেতনা।“

ঐ বছরেরই ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ ‘চট্টগ্রামের সময়’ পত্রিকা তাদের বিশেষ প্রতিবেদনে লিখলোঃ

“একুশে বই মেলায় লেখক সালাহ্ উদ্দীন আহমেদ জুয়েলে’র প্রথম ছোটগল্পের বই ‘নিষিদ্ধকথক’ বের হয়েছে। জ্ঞান অর্জনে, মেধা ও মননের বিকাশে বইয়ের কোন বিকল্প নেই ৷ তাইতো নতুন ধারায় নতুন নতুন বই উপহার দিয়ে যাচ্ছেন নবীন-প্রবীন লেখকেরা।

‘নিষিদ্ধকথক’ সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েলের সহস্র ছোট ও অণুগল্প থেকে বাছাই করা ৪৫টি গল্পের সংকলন। গল্পগুলো দেশ, সমাজ, পরিবার এমনকি মানুষের ব্যক্তিজীবনে ঘটে চলা এমন কিছু ঘটনার উপাখ্যান যা আমাদের মনোজগতে চিন্তা-চেতনার খোরাক যোগায়।

জাতপাত, শ্রেণী বৈষম্যের কপালে চপেটাঘাত করে মানুষের বিবেকবোধকে জাগ্রত করে এরকম কিছু ম্যাসেজ দিতে চেষ্টা করেছেন লিখক তার ছোটগল্পগুলোতে।“

‘সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েলের জোকার’ বইটি নিয়ে জাতীয় পত্রিকা ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ প্রতিবেদন করে ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। পত্রিকাটি লিখেঃ

“তরুণ গল্পকার সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েলের তৃতীয় গল্পের বই ‘সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েলের জোকার’ প্রকাশিত হয়েছে । ধোঁয়াশে নয় বরং ঝরঝরে ভাষায় লেখা পঁচিশটি গল্পের সমন্বয়ে বইটি সাজিয়েছেন গল্পকার। ‘জোকার’ বইটির ভূমিকা লিখেছেন কবি-গল্পকার শাহিদ হাসান।

যাপিত জীবনের নানা বাস্তবতার আলোকে লেখা গল্পগুলো পড়লে যে-কোন পাঠকের মন ছুঁয়ে যাবে।

প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবী লেখক-গল্পকার সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েলের আগে প্রকাশিত দু’টো বইয়ের নাম ‘নিষিদ্ধকথক’ ও ‘ধূনন’।“

প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবী লেখক-গল্পকার সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েলের লেখা গল্প পাঠ করলে যেকোনো পর্যায়ের পাঠক ভিন্নতার স্বাদ পাবেন। জুয়েলের গল্প পাঠক-সমাদৃত হলেও লেখক নিজেকে আড়াল করে রাখেন পাঠকের সম্মুখ থেকে। আমরা চাই প্রচারবিমুখ জুয়েল এখন থেকে প্রচার-প্রসারে আসুন।

Show sidebar

No products were found matching your selection.