তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী : যাঁর মননশীলতার চর্চা ঈর্ষণীয়

তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী বর্তমান সময়ের একজন সক্রিয় লেখক। সম্প্রতি প্রকাশিত বইয়ের ফ্ল্যাপ লেখা থেকে জানা যায়, তাঁর জন্ম ৭ এপ্রিল ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে। তিনি মাতৃকূলে মধ্যযুগের শেষপাদের কবি বাকের আলী চৌধুরীর সরাসরি অধঃস্তন পুরুষ। সাহিত্যাঙ্গনে তার অভিষেক ঘটে ছড়া লেখার মাধ্যমে, সত্তর দশকের প্রখ্যাত ছড়াকার অকাল প্রয়াত বখতিয়ার হোসেনের হাত ধরে। তখন তিনি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। এরপর সৃষ্টির নেশায় এ লেখক সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বতঃস্ফূর্ত বিচরণ শুরু করেন। তবে এক সময় তিনি ঝুঁকে পড়েন প্রবন্ধ চর্চায়। প্রবন্ধ তথা গদ্য সাহিত্যে তাঁর মননশীলতার চর্চা ঈর্ষণীয়। প্রখর অন্তর্ভেদী অবলোকন ক্ষমতার অধিকারী এ লেখক প্রচুর লেখাপড়া করেন। তার পাঠভ্রমণ, অবারিত চিন্তাশক্তি তথ্য পরিবেশনে বিস্ময়কর সক্ষমতা তিনি লাভ করেছেন নিরন্তর পাঠ ও শ্রমে, ভাবনা ও জ্ঞানে। এজন্য তার সৃষ্টিকর্ম আমাদের যেমন আপ্লুত করে, তেমনি ভাবায়ও। কবিতায়ও তিনি সমান পারদর্শী। এতে অনুভবের এক ভিন্নতর উপচে পড়া আবেগ সন্তরণশীল থাকে, যা দ্রাক্ষারসের মাদকতায় সিক্ত।
তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৯ টি। তন্মধ্যে রয়েছে : চট্টগ্রাম অতীত ও ঐতিহ্য, অচেনা মহাকাশ, পানপাত্রে দ্রাক্ষারস, ভিন গ্রহের প্রাণি ও মানবজাতি, ভিনদেশি রূপকথা (সম্পাাদিত) উল্লেখযোগ্য। বইগুলোর একাধিক সংস্করণও বেরিয়েছে।
রাজনীতি বিজ্ঞান বিষয়ে বি.এ ( অনার্স), এম. এ ডিগ্রীধারী এ লেখক নানা বিষয়ে বই লিখে ইতোমধ্যেই সুসংহত অবস্থানে চলে এসেছেন, যা তাকে জাতীয় পর্যায়ের লেখক হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে। তিনি ১৯৮২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য, বেতার, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে প্রবন্ধে ‘বাংলাদেশ পরিষদ সাহিত্য পুরস্কার’, ২০০২ সালে ‘সৃজনী সাহিত্য পুরস্কার’সহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন। তিনি চট্টগ্রাম একাডেমি, কালধারাসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন।

Showing all 5 results

Show sidebar