নাসরিন জাহান মাধুরী : যিনি তৈরি করেন এক ধরনের স্বপ্নাচ্ছন্ন অনুভূতিলোক
নাসরিন জাহান মাধুরী। বিজ্ঞানের শিক্ষক হলেও কবিতার হাত ধরাধরি করে চলেন তিনি। এক ধরনের স্বপ্নাচ্ছন্ন অনুভূতিলোক তৈরি করেন; সৃষ্টির আকাক্সক্ষা ও যন্ত্রণা যার মধ্যে ক্রিয়াশীল। তাঁর স্বপ্নের জগৎ কখনো মায়াময়, কখনো ধূসর। আছে অপার্থিব সুখ ও প্রশান্তির ছোঁয়া, আছে অপার বেদনা বা কষ্টের নীল যন্ত্রণা। কবিতার জমিতে তিনি কর্ষণ করেন নিরন্তর, ফসল ফলানোর স্বপ্নিল প্রয়াস যেখানে লক্ষ্যণীয়। তাঁর কবিতা মানে রোমান্টিক ও কঠিন বাস্তবতার সহজাত সংমিশ্রণ। কবিতায় পাওয়া যায় সুন্দর মনোভঙ্গির অপূর্ব সমন্বয়। একটা কবিতার উদাহরণ দিতে চাই :
পারদের ওঠানামায় জীবন
আটকে আছে নিখিলেশ
এখানে বন্দী ঘরে চোখ বুজে
মাথায় কেউ স্পর্শ করে
খুব চেনা স্পর্শ
চমকে ফিরে আহত চোখ
দেয়ালে তাকিয়ে থাকে শূন্যতায়
মাঝরাতে ঘুম ভাঙা হ্যালুসিনেসনে তুমি আসো
বিচ্ছিন্ন ভাবনাগুলো
ছেঁড়া প্রজাপতির মতো
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে থাকে এখানে সেখানে
এখনো ঢেউ খেলে জোয়ারের জল
পা ভিজাই সন্তপর্ণে
এখনো শিউলি তলায়
শারদ প্রাতে শিউলি কুড়াই
আরো একবার তোমার সাথে নিখিলেশ।
[প্রজাপতি ভাবনা / নাসরিন জাহান মাধুরী ]
তাঁর প্রকাশিত বইয়ের নাম ‘মনপৌরের প্রহর’।
নাসরিন জাহান মাধুরীর জন্ম ২ জুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কান্দিপাড়ায়। পিতা মরহুম সামসুদ্দিন আহমেদ ও মা তাইবুন্নাহার। তিতাস বিধৌত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুক্তমনা সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠায় শিল্প সাহিত্যের প্রতি ছোটবেলা থেকেই ছিল বিশেষ আগ্রহ। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাঠ ব্রহ্মণবাড়িয়ায় সম্পন্ন করে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে নেয়া। বর্তমানে সিলেটে স্কলার্সহোম কলেজে অধ্যাপনায় নিয়োজিত আছেন।
No products were found matching your selection.