মর্জিনা আখতার : যার ভিতরে সৃষ্টির ব্যাকুলতা আছে, আছে অন্তর্গত তাগিদ

মর্জিনা আখতার বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এক লেখক। তিনি কবি, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘ভালোবাসা জেগে থাক’ ও ‘অন্তরের বসতবাটি’ আমাদের অন্তরে স্থায়ীভাবে ঠাঁই করে নিয়েছে। এভাবেই ভালোবাসা জেগে থাকে।
এছাড়া স্বামী গবেষক -কলামিস্ট সাখাওয়াত হোসেন মজনুর সঙ্গে যৌথভাবে অন্তত ১৮টি গ্রন্থের কাজ করেছেন। অতি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ছড়াগ্রন্থ ‘দুরন্ত শৈশব’।
প্রতিটি মানুষের মধ্যে কমবেশি সৃজনী ক্ষমতা বিদ্যমান। ভাব বা ভাবনা থাকলেই প্রকাশ ক্ষমতা সকলের থাকে না। তবে সৃষ্টি সুখের উল্ল¬াসে সকলেই সামিল হতে চান। সকলেই পেতে চান সৃষ্টির আনন্দের স্বাদ। মর্জিনা আখতার এমন এক লেখক, যাঁর ভিতরে সৃষ্টির ব্যাকুলতা আছে, আছে অন্তর্গত তাগিদ। তিনি তাঁর কবিতা ও ছড়ার মধ্য দিয়ে দেশ-জাতির কথা তুলে ধরেন, তুলে ধরেন নিজের স্বপ্নের কথা।
অর্থনীতি, ইংরেজি এবং শিক্ষা প্রশাসনে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন। মেধাবী এই শিক্ষক কর্মজীবন শুরু করেছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার হিসেবে। তারপর নাড়ির টানে, নেশার টানে পথ ধরলেন শিক্ষক মা হাসনা বানুর। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কয়েকটি স্কুলের প্রধানের দায়িত্ব শেষে এখন আবারো একটি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করছেন।
সমাজকর্মে তিনি নিবেদিত। চট্টগ্রাম শহরের সেবাধর্মী ১৮টি প্রতিষ্ঠানের সাথে রয়েছেন। চেষ্টা করছেন অসহায়দের পাশে থাকতে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ও সাহিত্য নিয়েও তিনি সরব। অসংখ্য আঞ্চলিক কবিতা ও ছড়া রয়েছে তাঁর ঝুড়িতে। সাহিত্যের এই শাখাতেও তার দক্ষতা প্রমাণ মেলে। তবে শিশুসাহিত্য প্রাঙ্গণে তিনি মুখর থাকতে ভালোবাসেন। তিনি রেডিও ও টেলিভিশনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
মর্জিনা আখতারের লেখালেখির শুভ সূচনা ছোটবেলায়। স্বাধীনতার পূর্ব থেকে দৈনিক আজাদীর ‘আগামীদের আসরে’ লিখে লিখে তিনি লেখক হয়েছেন। এখনো লিখছেন সাহিত্যের বিভিন্ন অঙ্গনে।

Show sidebar

No products were found matching your selection.