ইসমত আরা জুলী : নতুন অন্তরলোক সৃষ্টিতে যিনি সক্রিয়
ইসমত আরা জুলী। আমাদের শহরের এক উজ্জ্বল মুখ। জন্ম চট্টগ্রামের কাট্টলীতে। যদিও এখন অবস্থান করেন রাজধানীতে। সাহিত্যের অনেকগুলো শাখায় কাজ করে যাচ্ছেন। কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, অনুবাদ সাহিত্য ও শিশু সাহিত্য। কয়েকবছর ধরে তিনি পত্র-পত্রিকায় কবিতা, অনুবাদ ও ছোটগল্প ছাড়াও নিয়মিতভাবে উপ-সম্পাদকীয়, ফিচার ও নিবন্ধ লিখে আসছেন।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে – কাব্যগ্রন্থ : ‘হতে চাইনি ডক্টর ফস্টাস’, ‘এ শহর আমার নয়’, ‘নাফ নদীর রক্তস্রোতে’
এবং অনুবাদ-গ্রন্থ ‘ও হেনরির ডেলা, ডিলিংহ্যাম এবং অন্যান্য’।
ইসমত আরা জুলীর কাব্যিক রূপসৌন্দর্য উল্লেখ করার মতো। কবিতার ভাব, বিষয়, উপমা, চিত্রকল্প- সব দিক দিয়ে তিনি সৃষ্টি করেন নতুন অন্তরলোক। একটা গল্প থাকে তাাতে, সেই গল্পের ধারাভাষ্যকার হিসেবে তিনি অনন্য। তিনি অক্ষরিক অর্থে সৌন্দর্যশিল্পী। কবিতার মধ্য দিয়ে তিনি সুন্দরের আরাধনা করেন। প্রবেশ করেন পাঠকের অন্তরে। তার ভেতরে থাকে মানুষ, প্রেম, সমাজ, প্রকৃতি, রূপবৈচিত্র্য এবং কল্পনা ও বাস্তবতার চিত্র। শহরের যন্ত্র ও যান্ত্রিকতাকে পাশ কাটিয়ে মনের ভেতর তৈরি করেন সৌন্দর্যের মায়াময় জগৎ।
স্কুল জীবন থেকে লেখালেখির শুরু। কলেজ জীবনে দৈনিক আজাদীর আগামীদের আসরে তিনি নিয়মিত ছড়া লিখতেন। সংস্কৃতিবান বাবা-মায়ের ঘরে জন্ম নেওয়ার কারণে তিনি ছোটবেলা থেকে আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও লেখালেখির সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। কলেজ জীবনে বিভিন্ন রচনা ও স্বরচিত কবিতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অনেক পুরষ্কার লাভ করেন । বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন ছাত্রজীবন থেকে । শিক্ষাজীবন কেটেছে অপর্ণাচরণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে এবং এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন, ইংরেজি ভাষাতত্ত্বে মাস্টার্স করেছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রে অনুষ্ঠান ঘোষণা , সংবাদ পাঠ ও অন্যান্য অনুষ্ঠান করেছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্রে বাংলা সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কাজ করছেন । উপস্থাপনা, আবৃত্তি ও ধারাবর্ণনায় তাঁর সরব পদচারণা রয়েছে । সঙ্গীত চর্চা করছেন, সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে মঞ্চ ও টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন নিয়মিত । কর্মজীবনে দুইটি বেসরকারি ব্যাংকে কাজ করেছেন অনেক বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ও প্রশাসনেরই সাথেও জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তিনি একটি প্রকাশনা সংস্থার সাথে কাজ করছেন।
No products were found matching your selection.