জসীম মেহবুব লেখালেখি শুরু করেছিলেন জসীম উদ্দীন মঞ্জু নামে। পরবর্তীতে তিনি জসীম মেহবুব নামে বাংলাদেশের শিশুসাহিত্য অঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন। তিনি ১৯৬০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পিতার কর্মস্হল চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস চাঁদপুর জেলার রালাদিয়া গ্রামে। তাঁর শৈশব-কৈশোর কেটেছে কর্ণফুলি নদীর মায়াবী স্নেহধারায় পুষ্ঠ বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। তাঁর লেখালেখি জীবনের সূচনা গল্প দিয়ে। তিনি তখন ৮ম শ্রেণির ছাত্র। ১৯৭৯ সালে জাতীয় দৈনিক সংবাদের খেলাঘর পাতায় তাঁর প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। জসীম মেহবুবের মা ছিলেন কাব্যপ্রেমী। মূলত মায়ের অনুপ্রেরণায় তাঁর সাহিত্যের নান্দনিক ভুবনে অভিষেক। সেই যে তাঁর লেখালেখির সূচনা তাতে একদিনের জন্যেও ছন্দপতন ঘটেনি। জাতীয় ও স্হানীয় দৈনিকের বিভিন্ন পাতার পাশাপাশি দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন খুদে কাগজে তাঁর অগণিত লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
স্বভাবজাত প্রচার বিমুখ ও নিভৃতচারী ছড়াশিল্পী জসীম মেহবুব দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখি করে আসছেন। তাঁর এই নিরন্তর শ্রম ও নান্দনিক ভুবনে স্বতঃস্ফূর্ত বিচরণের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা। তিনি ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম একাডেমি প্রবর্তিত অধ্যাপক মুহাম্মদ খালেদ পুরস্কার, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমি পদক, ২০১৫ সালে শিশুদের পাঠশালা কর্তৃক প্রদত্ত শিশুসাহিত্য সম্মাননা, ২০১৫ সালে প্রতীকী ছড়াসাহিত্য পুরস্কার ও সিলেট ছড়ামঞ্চ সম্মাননা, ২০১২ সালে সাপাহার ছড়া স্ংসদ, নওগাঁ কর্তৃক সাহিত্য সম্মাননা, ২০১১ সালে কিডস শিশুসাহিত্য পদক ও বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ লেখক সম্মাননা এবং ২০০৯ সালে শিশুকিশোর মাসিক কথন শিশুসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
জসীম মেহবুবের সৃষ্টিসম্ভার তাঁর দীর্ঘ লেখালেখি, সময়কালের তুলনায় কমই বলা যায়। তবে ভালো লেখকের গ্রন্হসংখ্যা বরাবরই কম হয়ে থাকে। গ্রন্হসংখ্যা দিয়ে কোনো লেখকের সৃজনশীলতা বা লেখার গুণগত মান যাচাই কোনো প্রকারের মানদণ্ড হতে পারে না। আজ পর্যন্ত জসীম মেহবুবের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দশ। তার মধ্যে ৫ টি ছড়া কবিতাগ্রন্হ।
No products were found matching your selection.