কবি সুজন বড়ুয়া : যাঁর সব কবিতাই আশ্চর্য আবেগময় ও স্বপ্নমাখা
সুজন বড়ুয়া বাংলাদেশের কিশোরকবিতা অঙ্গনে এক উজ্জ্বল ও অনিবার্য নাম। যে ক’জন লেখক বাংলা কিশোরকবিতা চর্চার ধারাটিকে আরো বেগবান ও সুসংহত করার লক্ষ্যে নিরন্তর শ্রম দিয়ে চলেছেন এবং স্ব স্ব কাব্যপ্রতিভায় বাংলাদেশের কিশোর কবিতাকে আধুনিক বাংলা কবিতার কাছাকাছি নিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছেন, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। কিশোর কবিতা রচনায় তিনি যেমন আন্তরিক, তেমনি পরিশ্রমী। ফলে সমসাময়িক লেখকদের তুলনায় তিনি পেয়েছেন অধিকতর পাঠকপ্রিয়তা। বিষয়-বৈচিত্র্যে, ছন্দ-নৈপুণ্যে, শব্দ-কুশলতায়, উপমায় কিংবা চিত্রকল্পে তাঁর স্বাতন্ত্র্য অত্যন্ত স্পষ্ট। শব্দের পর শব্দ গেঁথে তিনি তৈরি করেন অপূর্ব পংক্তিমালা। তাঁর সব কবিতাই চিত্ররূপময়। কবিতায় ছবি আঁকার ক্ষেত্রে তিনি একজন দক্ষ শিল্পী। এসব ছবিতে তিনি প্রকাশ করেন তাঁর মনের সমস্ত আকুলতা ও কল্পনা। ফলে তাঁর কবিতা হয়ে ওঠে আশ্চর্য আবেগময় স্বপ্নমাখা। পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মনের ভেতরে সৃষ্টি হয় অনন্য ভাবমন্ডল, যেখানে একটি আদিম অপূর্বতা আছে, আছে অপরূপ আচ্ছন্নতা। তাঁর কবিতাগুলোর মধ্যে যেমন ছড়িয়ে আছে সুরের অনন্যতা, তেমনি আছে বক্তব্যের অখ-তা। তাই প্রতিটি পংক্তির ভেতর দিয়ে এমন একটা স্বর বুকে এসে লাগে, যা এক কথায় অপূর্ব।
সুজন বড়ুয়া কবিতা ছাড়াও সাহিত্যের অন্যান্য শাখাতেও সমান পারদর্শী। গল্প উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, ছড়া, জীবনী, গবেষণা– প্রায় প্রতিটি অঙ্গনে রয়েছে তাঁর ব্যাপক কাজ।