লেখক দীলতাজ রহমান : যাঁর আছে স্বকীয়তা, আছে প্রাণপ্রাচুর্য

দীলতাজ রহমান গুণী এক লেখক। সাহিত্যের নানা শাখায় তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত পদচারণা। একজন কবি হিসেবে তিনি যতটা সপ্রাণ, একজন গদ্যশিল্পী হিসেবে ততটা শক্তিমান। শিশুসাহিত্যেও রয়েছে তাঁর দক্ষতার ছাপ। নিরবচ্ছিন্ন তাঁর লেখালেখি। দীলতাজ রহমানের লেখায় অনায়াসে উঠে আসে নানা শ্রেণির মানুষের বিচিত্র চরিত্র। দেশ ও বিদেশে বিচরণ ও বসবাসের কারণে তিনি অর্জন করে চলেছেন নানাবিধ অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পেয়েছেন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনন। তাঁর লেখায় পাওয়া যায় বাংলাদেশের নারী জীবনের অকথিত অধ্যায়। নি¤œবর্গ থেকে শুরু করে বিত্তমান পর্যন্ত নানা শ্রেণির মানুষের অর্থেনৈতিক অবকাঠামো চিত্রিত হয়েছে তাঁর গল্পে।
দীলতাজ রহমানের গল্প যেমন আত্মস্মৃতি থাকে, তেমনি থাকে সত্যকথন। তিনি সাহসী, তবে উগ্র নন। ধৈর্য ও সহনশীলতাকে ধারণ করে সংকটময় জীবন অতিক্রমের ক্ষেত্রে তিনি পারদর্শী। ফলে তাঁর রচনায় মেলবন্ধন ঘটেছে অনেক অনুষঙ্গের। তিনি গল্প বলেন নিজের মত করে, তাঁর লেখনীশক্তিতে আছে স্বকীয়তা, আছে প্রাণপ্রাচুর্য। কঠিন কথাগুলো সহজে সহজ করে বলতে পারার পারঙ্গমতা রয়েছে তাঁর।
এ পর্যন্ত অনেকগুলো বই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। তন্মধ্যে গল্প : জল যে পিপাসা পায় না নাগাল, বহুকৌণিক আলোর সংঘাতে, ধূসর আচলে চাবি, মেঘের মেয়েরা, বৃত্তভাঙা আয়তন, গহীন দূরত্ব, নীলকন্ঠ নাগ, ফেরার ঘর নেই, তারান্নুম, নিঃসঙ্গ সৈকতে সোনার ময়ূরপঙ্খি নাও, গল্পসমগ্র, স্বনির্বাচিত গল্প; কবিতা : এ মাটি শেখ মুজিবের বুক, আশ্চর্য সর্বনাশ, সবুজের সাথে সখ্য, এ গোলাপ তোমার জন্য, জনকের প্রতিচ্ছবি, ওই দুটি চোখ আমার সীমা লঙ্ঘনের ঠিকানা, পারিজাত অপরাজিতা, মর্ত্যে অরুন্ধতী, বৃষ্টি এসে, রাতান্ধ বিড়াল, আমি কদমফুলের ঘ্রাণ চাই; শিশুতোষ বই : পটলের হারিয়ে যাওয়া, সোনার মেয়ে করিমন, ভালো ভূত, মা আমার চোখের আলো, একটি পাখির ডাকে উল্লেখযোগ্য।
দীলতাজ রহমানের জন্ম ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬১। গোপালগঞ্জে। ব্যক্তিগতভাবে বন্ধুবৎসল ও প্রাণোচ্ছল মানুষ। অন্যকে তুলে ধরার ও মূল্যায়নে রয়েছে সীমাহীন উদারতা। সবসময় সবাইকে নিয়ে আনন্দে থাকতে ভালোবাসেন। দুঃখ-কষ্টকে মাড়িয়ে জীবনকে আনন্দ-সাগরে ভাসিয়ে দিতে তিনি বেশ উৎসাহী।

Showing all 5 results

Show sidebar