সালাম সৌরভ, একজন পরিশ্রমী নিষ্ঠাবান তরুণ শিশুসাহিত্যিক ও শিক্ষক ডাক নাম বুলু হলেও পুরো নাম এম, এ, সালাম চৌধুরী, বিভিন্ন সময় তিনি সালাম বুলু নামে পত্র পত্রিকায় লেখা লেখি করলেও বর্তমানে সালাম সৌরভ নামেই লিখেছেন।
বন্দর নগরী চট্টগ্রাম জেলার ডবলমুরিং থানার দক্ষিণ আগ্রাবাদ আবিদর পাড়া বর্তমান সিডিএ আবাসিক এলাকায় ৩১ডিসেম্বর জন্ম।পিতা মরহুম রমজু মিয়া চৌধুরী, ও মাথা মুছাম্মদ লায়লা বেগম,
ছোটবেলা থেকেই তিনি ছড়া,কবিতা,গান, গল্প,চিঠিপত্র, প্রবন্ধ, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে
এখন পর্যন্ত নিয়মিত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক,ম্যাগাজিনে লেখা লেখি করে যাচ্ছেন।
স্কুল থাকা কালিন ১৯৮৬সালে দৈনিক নয়াবাংলা এবং১৯৮৭ সালে দৈনিক আজাদীতে ‘লেখা’ নামে ছড়া প্রথম প্রকাশিত হয়।১৯৯১সনে দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় শিশুতোষ ছোট গল্প’ ‘মিলিকে মনে পড়ে’ এছাড়া ২০০৩ সালে পিপলস্ এম্পায়ার ম্যান ট্রাস্ট
(পিইটি)শ্রমজীবী লেখক সম্মেলনে ছোট গল্প’ ‘ প্রত্যাশা ‘ তে সম্মাননা পুরস্কার ও সনদপত্র পেয়েছিলেন।
তার প্রকাশিত প্রথম শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ ২০১৮তে,’ডাইনীর থলে ডানপিটে ছেলে’ ২০১৯-‘খেলায় খেলায় যায় বেলা ‘
২০২০-‘আমাদের লালি’
২০২০-‘ভূতের গলি’
২০২০-‘ডোডো’
তিনি বর্তমানে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।।
******রম্য রচনা *******
আঁই কার খালুরে’
****সালাম সৌরভ ******
চট্টগ্রামে একটা আঞ্চলিক শ্লোক আছে,’অউশ উত্তুন লাম্বুর হাট দূরে অর্থাৎ ইচ্ছা শক্তির কাছে। দূরের হাট কিছুই না,
এক কোরবানি ঈদে আমরা গরু কেনার জন্য,সেরকম একটা লম্বুর হাটে গ্রামে গিয়েছিলাম, গরু দেখতে দেখতে হাটে হঠাৎ প্রচন্ড বৃষ্টি। সবাই যার যার মত দৌড় ছুট, ছোট ছোট পান দোকান,চা দোকানের সামনে লোকজন অবস্থান নিল, আমি ও একটা চা দোকানের।সামনে গিয়ে দাড়ালাম, একটু পর ভেতর থেকে এক বুড়ো ছাতা নিয়ে প্রকৃতির ডাকে জল ত্যাগ করতে ঝোপের আড়ালে গেল, বুড়ো জল ত্যাগ সেরে আসা মাত্র দোকানে দাড়িয়ে থাকা একজন বলল,খালু ছাতাটা।একটু দেন, প্রস্রাব টা সেরে আসি।ছাতা দিয়ে বুড়ো আবার দোকানে অবস্থান নিল।
কিন্তু ১৫/২০মিনিট পর বুড়ো দোকানের বাহিরে এসে বললোঃ আঁই কার খালুরে?
আঁই কার খালুরে? প্রথম তো কেউ বুঝতেই পারলো না,সবাই তার চেচামেচির ব্যাপার জানতে চাইল।বুড়ো বললঃআঁর কোন শালির পুত খালু ডাইক্কা ছাতা নিছিল,ছাতা তো ফেরত দেলোনা,আবার বলতে লাগল আঁই কার খালুরে? – – –
********বিব্রত ইদ ********
এক বৃষ্টি ভেজা ইদে বন্ধুর সাথে তার খালার বাড়িতে,কলিং বেল টিপতে ই ড্রইংরুমের দরজা খুলেগেল।চকচকে ঝকঝকে অভিজাত ড্রইং রুম, দামি সোফায় বন্ধুর খালাব্বা বসে আছে,বন্ধু টির পায়ে ছিল সেন্ডেল,খুলেই সে ভেতরে প্রবেশ, আমারপায়ের বুটের তলায় আধমন কাদা,জুতো খুললেই বের হয়ে আসবে আণবিক বোমার মত বিস্চিরি দূর গন্ধ।বন্ধুর খালাব্বা ভেতরে প্রবেশ জন্য ডাকছেন, কি করি? আমি বিব্রত আবস্থায় পড়লাম।ভদ্রলোকের হাঁকানিতে তাড়াতাড়ি বুট খুলে ড্রইংরুমে ডুকে পড়লাম।বসেই টের পেলাম কি ভুল না করলাম,মোজার গন্ধে সমস্ত ড্রইং রুম দূর্গন্ধময় হয়ে পড়ল।খালাব্বাটি তার মেয়েকে ডাকনেল,মেয়েটি রুমে প্রবেশ করেই নাক চেপে বললঃওরে বাবা এতো সুগন্ধি ভুলাই যায়না,ওর বাবা বলল, স্প্রে টা নিয়ে আয়।মেয়েটি দ্রুত রুমস্প্রে নিয়ে এসে শুধু আমার পায়ের তলায় স্প্রে কয়ছে।খুব বিব্রত কর পরিস্থিতি, তাড়াতাড়ি কিছু না খেয়ে বিদায় নিলাম,বিদায় বেলায় মেয়েটি আমার বন্ধু কে আবার বলল ভাইয়া এমন সুগন্ধি জীবনেও ভুলা যায়না।।

Show sidebar

No products were found matching your selection.