লিটন কুমার চৌধুরী : সহজ সরল ও বৈচিত্র্যসন্ধানী

লিটন কুমার চৌধুরী একজন নিভৃতচারী লেখক। একজন ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক। ছড়া কবিতা, গল্প ছাড়াও পত্রপত্রিকায় প্রবন্ধ নিবন্ধও লিখে থাকেন নিয়মিত। তবে ছড়া ও কবিতায় তিনি অধিক নিবেদিত। সহজ সরল ভাষা, সুন্দর বাক্যবিন্যাস, শব্দচয়ন ,উপমা ,অনুপ্রাস, বিষয়বৈচিত্র্যের দিক দিয়ে তিনি খুবই সচেতন লেখক। ছোটোদের বিষয়গুলো অত্যন্ত যতেœর সাথে সুনিপুণভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে তিনি একজন স্বতঃস্ফূর্ত কারিগর ।
লিটন কুমার চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার আধারমানিক গ্রামে এক সান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । বাবা প্রয়াত রনজিত চৌধুরী, মা আারতি চৌধুরী। ১৯৮৬-১৯৮৭ এর দিকে উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময় লেখালেখি শুরু করেন । ১৯৮৭ সালে কলেজ বার্ষিকীতে প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় । এরপর থেকে চট্টগ্রামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছড়া- কবিতা, গল্প ,প্রবন্ধ প্রকাশিত হতে থাকে । রাঙ্গুনীয়া কলেজ থেকে বি এসসি ও বাউবি থেকে বি এড নিয়ে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন শিক্ষকতাকে । বর্তমানে তিনি শ্রীঅরবিন্দ উচ্চ বালিকা বিদ্যাপীঠ ,বোয়ালখালী এর প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন । পাশাপাশি চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন চট্টগ্রাম একাডেমি ও শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের সক্রিয় সদস্য ।
লিটন কুমার চৌধুরীর বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তন্মধ্যে রয়েছে : জোনাকজ্বলা রাতে (ছড়া -কবিতা)
রবিন ও মেছোভূত (শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ), রঙ মাখানো স্বপ্ন বুনি (কিশোর কবিতা), পালতোলা সাম্পান (ছড়াগ্রন্থ), তুলি ও প্রজাপতি (শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ)। তাঁর একটি লেখার উদাহরণ দিতে চাই :

তোমরা আমায় যা যা বলো করতে পারো মানা
আমার কিন্তু পাখি খোঁজার কৌশল আছে জানা।
তাদের সাথে দিন কেটে যায় ছোটাছুটি করে
আমায় দেখে পাখিগুলো বসে নড়েচড়ে।

আমি তাদের বন্ধু স্বজন তারা কিন্তু বোঝে
আমি যেমন তারাও তেমন তারা আমায় খোঁজে।
কারণ হলো শিকারীদের বাড়ছে আনাগোনা
এক নিমিষে যেতে পারে ভেসে স্বপ্নবোনা।

মানুষ দেখে পাখিগুলোর বেড়ে যায় সংশয়
কখন জানি শিকারি হওয়ায় মনে থাকে ভয়।
পাখিদের তাই ভয় তাড়াতে শিকারীদের রুখে
আমি থাকি বনবাদাড়ে তাদের সুখে-দুখে।

পাখি নিয়ে আমায় জগৎ অন্যরকম গড়া
পাখির মাঝে বেঁচে থাকা পাখি লালন করা।
[ পাখির মাঝে বেঁচে থাকা / লিটন কুমার চৌধুরী]

Showing all 3 results

Show sidebar